রোববার (১২ সেপ্টম্বর) প্রায় দীর্ঘ দেড় বছর পর শ্রেণিকক্ষের দ্বার খুলেছে। দিনের শুরুতে অনেক এলাকাতেই দেখা গেছে পথে পথে ছেলেমেয়েরা হেঁটে যাচ্ছে। কেউ অভিভাবকের সাথে। কেউ সহপাঠীদের সাথে দল বেঁধে। কেউবা একাকী। তাদের পরনে স্কুলপোশাক।
পিঠে ব্যাগ।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় প্রথম ধাপে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে আজ থেকে। শারীরিক উপস্থিতিতে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগে থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করার নির্দেশনা ছিল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
শ্রেণি কার্যক্রম প্রস্তুতি ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বরণ করতে সাজানো হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেণিকক্ষ। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। সকাল ৮টার আগেই শিক্ষার্থীরা নতুন স্কুল ড্রেস পরে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। মহামারী করোনার ভয়াল থাবায় দেশের শিক্ষা সূচি থেকে ঝরে গেছে প্রায় দেড় বছর। এই দীর্ঘ সময় পর আজ রোববার সকাল ৮ টা থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটি শ্রেণির পাঠদান অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী একটি রুটিনও প্রণয়ন করা হয়েছে।সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে স্কুল ও কলেজ কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থীকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হয়েছে।