ইতিহাস গড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুরে অজিদের ১০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে ঘরের মাঠের বাংলাদেশ।
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের লক্ষ্য ছিল ১২৮ রানের। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। ওই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার পড়ে ২২ রান। তরুণ অফ স্পিনার মাহেদী হাসান দেন ১২ রান। এতে বিজয় উল্লাসে মাতে টাইগার শিবির।
এর আগে অধিনায়ক রিয়াদের ক্যাপ্টেন ইনিংসের ভর করে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তুলে বাংলাদেশ। দুই ওভার পার হতেই উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ দায়িত্ব নিয়ে ইনিংসের প্রায় শেষ পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেছেন। ৫৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫২ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অসি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছিল টাইগাররা। ৩ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর নাইম শেখকে।
৩ রানে নেই ২ উইকেট। দলের এমন কঠিন সময়ে হাল ধরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটে সেট হয়ে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন সাকিব। কিন্তু ১৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রানের ঝড় তুলে ফিরতে হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলেই অ্যাডাম জাম্পাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। ভেবেছিলেন লংঅফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে যাবেন। কিন্তু দৌড়ে এসে দারুণ এক ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। এতেই তাতেই রিয়াদের সঙ্গে সাকিবের ৩৬ বলে ৪৫ রানের জুটি ভাঙে।
এরপর দুই ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেনের সঙ্গে ২৩ বলে ২৯ আরেকটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। ভুল করে এক রান নিতে গিয়ে পড়েছেন রানআউটে কাটা পড়েন আফিফ। কভারে ঠেলে দিয়েই দৌড় দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু জায়গামতো পৌঁছতে পারেননি।
সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে দেন অ্যালেক্স কারে। ১৩ বলে ১ চারে আফিফের ১৯ রানের ইনিংসটি থেমেছে। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারীও (৮ বলে ৩) হ্যাজলেউডকে ক্রস খেলতে গিয়ে মিডউইকেটে হয়েছেন ক্যাচ।
নুরুল হাসান সোহান শুরুটা করেছিলেন দারুণ। নিজের মুখোমুখি তৃতীয় বলেই লংঅনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। তার ইনিংসটিও থেমেছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
৪ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন অভিষিক্ত এলিস। জস হ্যাজেলউড ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ২টি উইকেট শিকার অ্যাডাম জাম্পার।