মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে উঠতি মডেলদের দিয়ে পর্ন ভিডিও শুট করতে বাধ্য করতেন গেহনা বশিষ্ঠ। তাদের নগ্ন ছবি তুলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে বিক্রি করা হত। তিন মডেলকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা।
গত সপ্তাহেই গেহনা বশিষ্ঠের বিরুদ্ধে ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রপার্টি সেল বিভাগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিনেত্রীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গেহনা ছাড়াও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গী রোয়া খান, ফটোগ্রাফার মনু শর্মা, অভিনেতা ভানু ঠাকুর, অরিশ শেখ এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর প্রতিভা নালাওয়াড়েকে।
গেহনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে ওই ওয়েবসাইটে মডেলদের নগ্ন ভিডিও এবং ছবি আপলোড করা হত। মাসে ২০০০ টাকার সাবস্ক্রিপশন নিলেই সেই সব ছবি ও ভিডিও দেখা যেত। প্রায় ৪ লক্ষ সাবস্ক্রিপশন রয়েছে ওই সাইটটিতে।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। গেহনার অভিযোগ, ফাঁসানো হয়েছে তাকে।
মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ৭০টি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। টেলিভিশনে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সঞ্চালক হিসেবে। স্টার প্লাসের ‘বেহনে’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এমটিভি’তেও সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলেছেন গেহনা।
মুম্বইয়ের গ্ল্যামারের জগতে গেহনার পরিচিতি বাড়ে ২০১২ সালে মিস এশিয়া বিকিনি প্রতিযোগিতা জেতার পর থেকে। ‘ফিল্মি দুনিয়া’ ছবির মাধ্যমে সিনেমার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
তারপর একাধিক হিন্দি ও তেলুগু ছবিতে অভিনয় করেছেন। অল্ট বালাজির ‘গন্দি বাত’ সিরিজের তৃতীয় মরশুমে স্বাতীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন গেহনা। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘উল্লু’র দর্শকদের কাছেও
বেশ জনপ্রিয় তিনি। কীভাবে পর্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন অভিনেত্রী? এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।