সকাল ৭:২০ বৃহস্পতিবার ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ১লা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

হোম লাইফস্টাইল গায়ে দুর্গন্ধ? জেনে নিন সমস্যার সমাধান

গায়ে দুর্গন্ধ? জেনে নিন সমস্যার সমাধান

লিখেছেন sayeed
Spread the love

সুগন্ধি সাবান দিয়ে গোসল করেও গায়ের দুর্গন্ধ দূর হচ্ছেনা! কড়া গন্ধের ডিওড্রেন্টই একমাত্র ভরসা। কোথাও বেরোলে ব্যাগে মোবাইল, হেডফোনের পাশাপাশি পকেট ডিও রাখাও জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গায়ে কেন এত দুর্গন্ধ হচ্ছে? কখনও কি জানার চেষ্টা করেছেন? পাঠক চলুন জেনে নেয়া যাক গায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ কি আর সমস্যার সমাধান করবেন কিভাবে?

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, গায়ে গন্ধ তৈরি হওয়া, বিশেষ করে বগলে গন্ধ হওয়া একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটা সমস্যা। শরীরে দুর্গেন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে থাকে। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। সে কারণে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।

নানা রকম পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেও মেলে না মুক্তি। তাতে হয়তো সাময়িকভাবে গন্ধ দূর হয়, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার আগের রূপে ফিরে আসে। তাহলে কী করলে গায়ে দুর্গন্ধ ফিরে আসবে না?

>> পাঠক মনে রাখবেন, যে খাবার খাচ্ছেন, সমস্যা তাতেই রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন আপনি যা খাচ্ছেন সেখান থেকে যৌগ ভেঙ্গে সরলীকরণ হয়, সেই পদ্ধতিতে সমস্যা থাকছে। খাবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকলে অনেকের গায়ে দুর্গন্ধ হয়। রেড মিট, ডিম, পেঁয়াজ, ব্রকোলি, রসুন ইত্যাদি খবারে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে। সব খাবারে আলাদা আলাদা রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ সব খাবার খেলে নানা রকমের গন্ধ তৈরি হয়।

>> ঘাম উৎপাদক সোয়েট গ্ল্যান্ডের ব্যাকটেরিয়াল ব্রেক ডাউনের ফলে দুর্গন্ধ হয়। তা বলে কী খাবেন না এই ধরণের খাবার! একদমই তা নয়। এই খাবার খাওয়ার পর খুব বেশি করে জল খাওয়া উচিত।

>> বয়ঃসন্ধিতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। কিন্তু অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যা চলতে থাকলে বুঝতে হবে বড় কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের অনেক সময় গায়ে দুর্গন্ধ হয়। স্নায়ুর অসুখ অথবা হাইপারথায়রইয়েডিসম থাকলেও সমস্যা বাড়তে পারে।

>> বেশি অ্যালকোহল পান করছেন আপনি? যদি তাই হয় মনে রাখবেন, আপনার স্বেদ গ্রন্থি অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এর ফলে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। যাদের গায়ে দুর্গন্ধ বেশি হয়, তারা এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

>> পেট ভরে খাওয়ার মানে কিন্তু পুষ্টির চাহিদা পূরণ নয়। বরং শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে হলে প্রয়োজনীয় সব খাবার সঠিক পরিমাণ খাওয়া দরকার। শরীর পুষ্টিহীন হলে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘাম থেকে বাজে গন্ধ হয়। তাই পুষ্টিপূর্ণ করার দিকে নজর দিন।

>> মানসিক ভাবে উদ্বিগ্ন থাকলে দেহের অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে আরও উত্তেজিত করে তোলে এই গ্রন্থি। স্ট্রেস বা উদ্বেগ কিন্তু দুর্গন্ধের কারণ না, দুর্গন্ধ বাড়িয়ে দেয় শুধু। সুতরাং মানসিক চাপ বেশি নেবেন না।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More