সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে সবাইকে ‘অটোপাস’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়েই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রী সেদিন ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের কথা জানালেও তা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়।
সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।
সব শঙ্কা ও জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হলো। এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হবে না।
যারা মোবাইল ফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে ফলাফল পেতে ইচ্ছুক তাদেরকে ফলাফল প্রকাশের আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। HSC<>Board name (First 3 letter)<>Roll<>2020 টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফলাফল পৌঁছে যাবে।
এ ছাড়া টেলিটক ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) থেকে ফল দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে।