সকাল ৭:১৪ সোমবার ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ৫ই রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

হোম খেলা তুরস্কের ক্লাবে যোগ দিলেন ওজিল

তুরস্কের ক্লাবে যোগ দিলেন ওজিল

লিখেছেন kajol khan
ojil_durantobd
Spread the love

 

আর্সেনালের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধন ছিন্ন করে অবশেষে তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচে পাড়ি জমালেন মেসুত ওজিল। রোববার (২৪ জানুয়ারি) ইস্তানবুলে তুরস্কের ক্লাবটির সঙ্গে ৩২ বছর বয়সী সাবেক জার্মান মিডফিল্ডার তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তার বার্ষিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো।

২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে সেসময়ের ক্লাব রেকর্ড ৪২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে আর্সেনালে পাড়ি দেন ওজিল। প্রথম মৌসুমেই এফএ কাপের শিরোপার স্বাদ পান এই বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার। আর তাতে লন্ডনের ক্লাবটির ৯ বছরের শিরোপাশূন্যতার অবসান ঘটে।

আর্সেনালের জার্সিতে ৮ বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৪ ম্যাচ খেলে ৪৪টি গোল করেছেন ওজিল। তবে গত মার্চ থেকেই গানারদের বর্তমান কোচ মিকেল আরতেতার দলে উপেক্ষিত ছিলেন তিনি।

২০১৪-১৫ মৌসুমে ৩ মাস ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকার পরও টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের শিরোপা জেতে আর্সেনাল। পরের মৌসুমে ১৯টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। থিয়েরি অঁরি ও কেভন দে ব্রুইনার পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেবার তিনি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ছয় ম্যাচে গোল বানিইয়ে দিয়ে রেকর্ড গড়েন। আর্সেনালের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন।

কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে ওজিলের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্লাবের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী খেলোয়াড়ে পরিণত হন তিনি। তার সাপ্তাহিক বেতন দাঁড়ায় সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড। কিন্তু গত গ্রীষ্মে করোনা মহামারির মধ্যে তিনি বেতন কমাতে রাজি হননি। এ নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী ওজিল জার্মানি জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তখনকার আর্সেনাল কোচ উনাই এমেরির দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর আরতেতা দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ১০ ম্যাচেই মাঠে নামেন ওজিল। কিন্তু করোনার কারণে তিন মাস খেলাধুলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলেও আর মূল দলে ফেরা হয়নি তার।

ওজিলের জন্ম জার্মানিতে হলেও তার পূর্বপুরুষরা তুরস্কের। তিনি বিয়েও করেছেন এক তুর্কি নারীকে। তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বেশ ভালো। ওজিলের বিয়েতেও উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ওজিলকে। কিন্তু সমালোচনায় পিছপা হননি তিনি।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More