আজ ২৪ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের এই দিনে পূর্ব বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সংগ্রামী ছাত্র জনতা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর পুলিশী নির্যাতন, দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল বের করে।
মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবকুমার ইন্সটিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান ৷ এই ঘটনায় ছাত্র জনতা আরও রুদ্ররোষে ফেটে পড়ে, তৈরি হয় গণঅভ্যুত্থান। স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের স্বৈরতন্ত্রের।
১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচি গণঅভ্যুত্থানের পথ সৃষ্টি করে। ২০ জানুয়ারি শহিদ হন আসাদুজ্জামান আসাদ ৷ আসাদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে সারাদেশে আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠে। আর শহিদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয় এই ২৪ জানুয়ারি।
এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইন্সটিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর ও রুস্তম শহীদ হন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইন্সটিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।