ব্রহ্মিণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই মো. জামাল মুন্সিকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বিত্তরা। শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চরচারতলা এলাকার মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল মুন্সি চরচারতলা মুন্সি বাড়ির হাজী ফজলুল হক মুন্সির ছেলে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চরচারতলা ঈদগাহ মাঠের পাশে আবুল মিয়ার দোকানে হানিফ মুন্সির ভাই মুমিন মুন্সি ও একই এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাদ্দাম মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনা জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি রাতেই সেখানে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়ে সবাইকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
এরই জের ধরে একই এলাকার লতি বাড়ির আবু শহিদ, সেলিম, আবদু, জিয়া খন্দকার, শফিক, দিলুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাত ১টার দিকে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির প্রধান ফটকে হামলা চালালে হানিফ মুন্সির ছোট ভাই জামাল মুন্সিসহ আরও কয়েকজন এতে বাধা দেন।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন জামাল মুন্সিকে বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত আহত হয়। পরে আশঙ্কাজনকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এই ব্যাপারে নিহত জামাল মুন্সির ভাই ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি জানান, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আবু শহিদ, সেলিম, আবদু, জিয়া খন্দকার, শফিক, দিলুর নেতৃত্বে তাদের লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার ভাই জামাল মুন্সি আগে বের হলে তাকেই হত্যা করে হামলাকারীরা।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ জানান, নিহত জামাল মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।