চলতি সপ্তাহে আফ্রিকায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ আট বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছয়জন এবং মোজাম্বিকে ও সোয়াজিল্যান্ডে একজনকরে দুই প্রবাসী বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাফিকিং এলাকায় মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহর দেশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার বিদ্যাকুট ইউনিয়নে।
দেশটির লিম্পুপু প্রদেশের জানিনে এলাকায় আলি নুর নামের আরেক বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার ভোর ৫টায় লিটাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বাড়ি বিক্রমপুরের শ্রীনগর উপজেলার বাড়োইখালি ইউনিয়নে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের মাঠাটিয়ালের একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল নামের এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মাঠাটিয়ালের পাশে মাউন্ট ফ্লেসারে চাকরি করতেন।
জোহানেসবার্গে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কালাম তালুকদার নামে একজন বাংলাদেশি। গত শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় জোহানেসবার্গ শহরের হিলব্রুতে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। তিনি শহরতলীর থেম্বিসা এলাকায় ব্যবসা করতেন। এক সপ্তাহ অসুস্থ হয়ে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
কেপটাউনে ফরিদ খলিফা নামের এক বাংলাদেশির স্ত্রী করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তার দুই কন্যা রয়েছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় মোহাম্মদ আলী নামের এক বাংলাদেশি করোনায় মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মদনখালী গ্রামে।
সোয়াজিল্যান্ডে করোনা আক্রান্ত হয়ে নুরুল হক নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সোয়াজিল্যান্ডের মান্জিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমিন বাজারের বাসিন্দা।
মোজাম্বিকে মোহাম্মদ আলী (৫০) নামের এক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (২০ জানুয়ারি) দেশটির গাজা প্রদেশের জাবেলি এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।