সকাল ৬:৪৬ বৃহস্পতিবার ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ১লা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

হোম দেশ গণধর্ষণ : আপিলের রায়ে ফাঁসির ৫ আসামি খালাস

গণধর্ষণ : আপিলের রায়ে ফাঁসির ৫ আসামি খালাস

লিখেছেন sayeed
Spread the love

নেত্রকোনা প্রায় আঠার বছর আগে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা সিদ্দিকী। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন,বজলুল কবির,আফিল উদ্দিন, সাকিব মাহবুব, সাইফুর রহমান রাহি ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক ফরিদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় উচ্চ আদালত খালাসের রায় দিয়েছেন। মামলার বাদি যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার আলামত পাওয়া যায়নি বলে মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া মামলার বাদি যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তার সাথে মামলার বিবরণ, সাক্ষীদের বক্তব্যের মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল। ফলে ধর্ষণের অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত না হওয়ায় হাইকোর্ট আসামিদের খালাস দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক বলেন, মোট ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে দুই প্রধান সাক্ষী আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেয়নি। আর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাক্ষী আসামিদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ায় তাদের বৈরী ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামতের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়নি। যে কারণে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়নি।

মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২০ জুলাই মায়ের সাথে নেত্রকোনা সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের ওই কিশোরী পূর্বধলা উপজেলার সাতপাটি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে রাতে কুমারখালীর হোগলা পাকা রাস্তার ব্রিজের উপর পৌঁছালে পাঁচ আসামি ছুরি ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে রিকশার গতিরোধ করে ওই কিশোরীকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে পাশের একটি ভবনে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে আসামিরা ওই কিশোরীকে নিয়ে বিলের পানিতে নেমে গিয়েছিল বলে মামলায় বলা হয়েছে। পরে ওই কিশোরীকে ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন ওই কিশোরী নিজেই পূর্বধলা থানায় মামলা করেন। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। ঘটনার চার মাসের মাথায় তদন্ত শেষ করে ওই বছরের ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

তার ১০ বছর পর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। তারও তিন বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়ে রায় দেয় নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More