বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর চকবাজারের কেবি রুদ্ররোডের ‘নোয়াখালী ভবনে’ প্লাস্টিক কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল পৌনে ৮টার দিকে নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চারতলা এ ভবনের ২৫ থেকে ৩০টি প্লাস্টিক কারখানা ও গুদামের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনের ঘুমন্ত লোকজন দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে ছাদের ওপর দিয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ও আতঙ্কে আশেপাশের ভবনের লোকজন বিনিদ্র রাত কাটান।
নোয়াখালী ভবনের একটি প্লাস্টিক কারখানার এক শ্রমিক জানান, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও লোকজনের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন ভবনের সামনের দিকে আগুণের ভয়াবহ লেলিহান শিখা ও ধোঁয়া।
ওই সময় তিনিসহ আরও কয়েকজন দৌঁড়ে ছাদে উঠে পাশের ভবনের ছাদে লাফিয়ে পালিয়ে যান। দূর থেকে চেয়ে দেখেন ভবনের নীচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত প্লাস্টিকের কাঁচামাল ও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন মালামাল পুড়ে কাঁচামালের পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
আগুণ নিভে গেলেও এখনও চারতলা ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুনে ভবনের দরজা, জানালা পুড়ে গেছে। কোথাও কোথাও ছাদের কার্নিশ ভেঙ্গে পড়ে আছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষে প্লাস্টিকের সামগ্রী তৈরির ভারি মেশিন পড়ে আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ ভবনটি বহু বছরের পুরনো। ভবনটিতে অনেকগুলো কারখানার মালিক ভবন মালিককে ভাড়া না দিয়ে দখল করে আছেন। ইতোপূর্বে প্রভাবশালীদের কেউ কেউ ভবনটি দখল করে নিতে চেয়েছেন। এ ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ড নাশকতাও হতে পারে।