২০১৯ সালের এপ্রিলে কলম্বোর একাধিক চার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিমদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই ইসলামভীতি ভর করেছে দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির জন্যে মুসলিমদের দায়ী করে প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম।
আর দেশটির সরকারের কর্মকাণ্ডগুলোও হয়ে উঠেছে মুসলিমবিদ্বেষী। দেশটিতে করোনায় মৃতদের মধ্যে ১৯ মুসলিমের দেহ রাজধানী কলম্বোর একটি মর্গে রয়েছে। মুসলিমদের ধর্মীয় রীতি ও অনুভূতির তোয়াক্কা না করেই সেগুলো পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন লঙ্কান অ্যাটর্নি জেনারেল দাপ্পুলা ডি লিভেরা।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই গত বুধবার পাঁচটি মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাকিগুলোও পোড়ানো হবে।
তবে সরকারের এ নীতি চ্যালেঞ্জ করেছেন স্থানীয় মুসলিমরা। লঙ্কান সুপ্রিম কোর্টে মরদেহ পোড়ানো আটকানোর জন্য অন্তত ১২টি আবেদন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও একাধিক নাগরিক অধিকার সংস্থা। তবে কোনও কারণ উল্লেখ না করেই সেই আবেদনগুলো খারিজ করে দেয় শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা সহায়ক রিহাব মাহামুর আল জাজিরাকে বলেন, মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গিয়ে মরদেহ পোড়ানো খুবই অন্যায়। আন্তর্জাতিক নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, করোনায় আক্রান্তদের মরদেহ মাটিচাপা বা দাহ করা যেতে পারে।
শ্রীলঙ্কা মুসলিম সম্প্রদায়কে আরও কোণঠাসা করতে এই মহামারিকে ব্যবহার করছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, অ্যাটর্নি জেনারেল এই স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।