মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৪০তম স্প্যান। আর এতে সেতুর ৬ ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) ১১টার দিকে স্প্যানটি সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
৩৯তম স্প্যান বসানোর ৮ দিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যানটি। আর এখন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান বসানো হলেই ৬ হাজার ১৫০ মিটার সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হবে। গেল দুই মাসে সেতুতে ৮টি স্প্যান বসিয়ে রেকর্ড তৈরি করেছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা।
বাকি থাকলো আর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘২-এফ’ নামের স্প্যানটি। যা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কাজটি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী সেতু সংশ্লিষ্টরা।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ৩৯তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানো হলো। বিজয়ের মাসে সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজটি সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচনের রাস্তা সুগম হবে। এমতাবস্থায় পদ্মাপাড়ের স্থানীয় মানুষদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। আর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যান। ধাপে ধাপে স্প্যান বসিয়ে এ পর্যন্ত ৪০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর মোট পিলার ৪২টি এবং এতে স্প্যান বসবে ৪১টি। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।