চট্টগ্রামে বিরল এক শিশুর জন্ম হয়েছে। যার সারা গায়ে জেব্রার মতো ডোরাকাটা দাগ। বড় নাভি। লাল টুকটুকে চোখ।
বিরল এ ধরণের চর্মরোগ নিয়ে জন্ম হয়েছে ছেলে শিশুটির।
প্লাস্টিকের মতো পুরু চামড়া দিয়ে ঢাকা নবজাতকটির সারা শরীর; ত্বকের ওপর বাদামি আবরণ।
শনিবার (২১ নভেম্বর) রাতে নগরীর নাজিরপোলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্ম হয় শিশুটির।
নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার বাসিন্দার ২৫ বছর বয়সী এক মা শিশুটির জন্ম দেন। এটি ওই গৃহবধূর প্রথম সন্তান।
অস্ত্রোপচার করেছেন প্রসূতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইশরাত জাহান।
জন্মের পরপরই শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শিশু ৪০ সপ্তাহে নিলেও এই শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে ৩৮ সপ্তাহে।
চমেক হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন, ‘এটি একটি কলোডিয়ান বেবি। হারলিকুইন ইকথাইয়োসিস নামে এক ধরনের জন্মগত চর্মরোগ আছে, যেগুলো জিনগত ত্রুটির কারণে হয়। সাধারণত কয়েক লাখ নবজাতকের মধ্যে একজন এ ধরনের রোগে আক্রান্ত অবস্থায় জন্ম নেয়। বাবা অথবা মায়ের বংশগত কোনো ত্রুটি থেকে নবজাতক এ রোগে আক্রান্ত থাকে। এ ধরনের শিশুর চেহারাটা অদ্ভুত হয়। চোখ এবং ঠোঁট রক্তবর্ণ হয়। ত্বকের সমস্যা থাকে। ত্বক খসে পড়ে না। চামড়াগুলো মোটা ও পুরু হয়, খসখসে থাকে। একটি শিশুকে পুরু প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখলে যে অবস্থা হয়, সাধারণ কলোডিয়ান বেবি সেরকমই হয়।’
শিশুটির অবস্থা ভালো না
চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডের প্রধান অধ্যাপক জগদীশ দাশ জানিয়েছেন, নবজাতকটির শরীরে ত্রুটি মারাত্মক। একই ধরনের ত্রুটি নিয়ে এর আগেও নবজাতককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শিশুর চর্মরোগের সমস্যা ছাড়াও হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়। নাড়াতে কম পারে। ভর্তি হওয়া নবজাতকেরও একই সমস্যা আছে।
তিনি আরও জানান, কলোডিয়ান বেবিদের ত্বক ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ জটিলতা থাকে। পানিশূন্যতাও থাকে। মুখ খুলতে পারে না। এজন্য স্বাভাবিকভাবে তারা আহারও গ্রহণ করতে পারে না। জন্মের পর মাত্র ১৫ শতাংশ কলোডিয়ান বেবি বেঁচে থাকে। যদি শরীরে জটিলতা মারাত্মক আকারের হয়, তাহলে এ ধরনের শিশু জন্মের প্রথম সপ্তাহেই মারা যায়।
আরো পড়ুন:
কুয়েতে সততার জন্য সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি মেজবাহ
আমিরাত প্রবাসীরা বড় সুখবর পেলেন
পেট্রোল ঢেলে স্ত্রীর নিম্নাঙ্গ পুড়িয়ে চামড়া টেনে টেনে তোলেন স্বামী (ভিডিও)