রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ডোমের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন মুন্না ভগত (২০)। ডোমের কাজ করার পাশাপাশি মৃত নারীদের ধর্ষণ করাই যেন ছিল তার এক ধরনের নেশা। একে একে সাতজন মৃত নারীকে ধর্ষণ করেন তিনি।
জানা গেছে, বিভিন্ন ঘটনায় অস্বাভাবিকভাবে যারা মারা যান তাদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়। আর তখন মৃত নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিল ডোম মুন্না।
ময়না তদন্তের ফরেনসিক রিপোর্টে গেছে সাতজন নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রত্যেক নারীদের ফরেনসিক রিপোর্টে একজন ব্যক্তির শুক্রাণুক প্রমাণ মিলে। এই ঘটনায় অবাক হয়ে যায় চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেয়ে প্রতিটি মেয়েকে ধর্ষণ করে মুন্না।
এর আগে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে একে একে সাতজন নারীর শরীরে একই ধরনের শুক্রাণুর প্রমাণ মিললে শুরু হয়ে যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। এরপর নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে মুন্না ভগতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর পর গতকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় মুন্না। এরপর তাকে আদালত ৬ দিনের রিমান্ডে দেয়।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, দুই থেকে তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত তরুণীদের ধর্ষণ করে আসছিলো। মৃত নারীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিল ডোম মুন্না।
জানা গেছে, মৃত নারীদের হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে নিয়ে আসার পর নিয়মিত ধর্ষণ করতেন ডোম। ফলে মৃত নারীর ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। মৃত নারীর শরীর থেকে ডোমের শুক্রাণুর প্রমাণ মিলেছে। এই ঘৃণিত কাজ নিয়মিত চালিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা প্রথম অবস্থায় তা বিশ্বাস করতে পারেনি।
ধাপে ধাপে একই ধরনের ঘটনা যখন ঘটতে থাকে তখন চিকিৎসদরে মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। লাশকাটা ঘরে অস্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরীক্ষা-নীক্ষার মাধ্যমে তাদের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন করা হয়। সিআইড ডিএনএ টেস্টে তরণীদের মৃতদেহে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের তৈরি হয়।
কেন, কী কারণে আত্মহত্যাজনিত ঘটনায় উদ্ধার তরুণীদের শরীরে শুক্রাণুর উপস্থিতি মিলবে-শুরু হয় এই তদন্ত। এরপর বেরিয়ে আসে মর্গে থাকা একাধিক মৃত তরুণীর শরীরে আবার একই ব্যক্তির শুক্রাণু। পরে বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা।