দেশে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। এরপর থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর হারও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
গত এক সপ্তাহে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার প্রায় ৪৩ শতাংশ (৪২ দশমিক ৭৪ শতাংশ) বেড়েছে। একইসঙ্গে নমুনা পরীক্ষার হার, শনাক্ত ও সুস্থতার হার বেড়েছে। ৪৬তম (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪৬তম সপ্তাহে (৮ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) ৯৭ হাজার ২৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে ১১ হাজার ৭৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আর ১১ হাজার ২৮১ জন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
আর ৪৭তম সপ্তাহে এক লাখ ৮ হাজার ৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত হয় ১৪ হাজার ৭৮৫ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন ১২ হাজার ৫০৩ জন।
৪৬ ও ৪৭তম সপ্তাহের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ, শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ০২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ৩৫০ জন। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয় এক হাজার ৮৪৭ জন। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮১ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯২১ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৬০ হাজার ৩৫২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৯৩ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।