মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৩৮তম স্প্যান বসানো হয়েছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার (প্রায় পৌনে ৬ কিলোমিটার) দৃশ্যমান হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, ৩৮তম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার। এখন আধা কিলোমিটারের মতো বাকি রইল। এ মাসে ৩৯তম স্প্যানটি বসানোর কথা রয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বর মাসে ৪০ ও ৪১তম স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে।
এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে।
বর্তমানে মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ০৩ ভাগ। নদী শাসনের অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ ভাগ। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজের অগ্রগতি ১০০ ভাগ বলে জানা গেছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন কো. লিমিটেড।