শীতকালে বাতাস শুষ্ক থাকার কারণে আমাদের ত্বক ও চুল রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। পাশাপাশি বাইরের ধুলাবালির প্রভাবও পড়ে চুলের ওপর। ফলে খুসকি থেকে শুরু করে চুলের নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়।এইসব সমস্যার সাবধান পেতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। এতে করে চুল থাকবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। তাহলে পাঠক চলুন জেনে নেয়া যাক শীতকালে চুলের বাড়তি যত্নে কি করবেন-
>শীতে চুল না ভিজিয়েই মোটেও গোসল করবেন না। নিয়মিত চুল ধুয়ে ফেলুন। এমনকি একদিন পর পর শ্যাম্প করুন। ভালোভাবে চুল শুকিয়ে তারপর বাঁধুন।
> সপ্তাহে তিন দিন গরম তেল দিয়ে চুলের ভেতর ও মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এ ম্যাসাজ চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে।
> শীতে চুল পড়া রোধে তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে অথবা ডিমের কুসুম মিশিয়ে চুলে লাগান। এতে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
> চুলের ডগা ফেটে গেলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুল বাড়তে সমস্যা হয়। ফলে চুলের ওই অংশ কেটে বাদ দিলে চুলের বৃদ্ধিতে কোনো বাধা থাকবে না। এছাড়া চুলের নিচের অংশ কেটে নিলে চুলের ডগা ভালো থাকবে।
> শীতে রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালং শাক, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
> রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো করে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ভালো হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়লে চুল পড়া কমবে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে।
> খুশকির সমস্যা দূর করতে এক মুঠো জবা পাতা আর সমপরিমাণ মেহেদি পাতা পেস্ট করে নিয়ে তাতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিতে পারেন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
> সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। এছাড়া কেমিকেল ছাড়া মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করাটাই চুলের জন্য ভালো।
> চুলে সূর্যের আলো লাগান। কেননা সূর্য থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এটি মাথায় রক্ত চলাচলেও উন্নতি ঘটায়।