নাম মুন্না ভগত। বয়স মাত্র ২০। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে মামা ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো সে। কিন্তু জঘন্য একটি অপরাধের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এ প্রসঙ্গে সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সৈয়দ রেজাউল হায়দার বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ— মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো সে। বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না। ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক।
সিআইডি সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া মুন্না দুই-তিন বছর ধরে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
এ প্রসঙ্গে সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, মৃত নারীদের ধর্ষণ করা পৃথিবীর জঘন্যতম একটি কাজ। সুস্থ ও স্বাভাবিক কেউ এমন জঘন্যতম কাজ করতে পারে না। গ্রেফতার হওয়া মুন্না বিকৃত মানসিকতার। তা না হলে এমন কাজ তার করার কথা নয়।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল বলেন, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতো।
তিনি আরও জানান, মুন্নাকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একারণে তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১২৩৬) দায়ের করেছেন। মুন্না মাঝে মধ্যে নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি জঘন্য কাজ সে করতে পারে, সেটা ভাবতেই পারছি না।