দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় সময় (১৭ নভেম্বর) রাত ৯টায় নর্থ ওয়েস্ট প্রদেশের মাফিকিং শহরের কাছে মারেসানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাংলাদেশি দুজন হলেন- ইমন আহমেদ (৩২) ও আব্দুর রহমান (৩০)। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রুবেল হোসেন (২৮)।
রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর কাশিবাড়ীর এবং ইমন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। আহত রুবেলও রূপগঞ্জেরই বাসিন্দা।
নিহতদের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাড়া করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আর এর পেছনে আরেক বাংলাদেশিকেই সন্দেহ করছেন তারা।
ঘটনাটির পর থেকে বাংলাদেশিদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুই খুনের সঙ্গে সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের বিষয়ে কেউ সরাসরি তথ্য দিতে চাইছে না। বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা না হলেও স্থানীয় পুলিশ এ ঘটনায় একটি মামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাংলাদেশি জানান, হাসান নামে এক বাংলাদেশির দোকানের সামনে কয়েকজন সশস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
তখন হাসান দোকানের ভেতর থেকে তার ব্যবসায়িক অংশীদার রুবেল, রহমান ও ইমনকে ফোন করে ডাকাতির কবলে পড়ার কথা জানান এবং তাকে সহযোগিতার জন্য দ্রুত সেখানে আসতে বলেন।
কল পেয়ে রুবেল, রহমান ও ইমন গাড়ি নিয়ে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দোকানের সামনে আসেন। তারা গাড়ি থেকে নামতেই ১৫ রাউন্ড গুলি করে কৃষ্ণাঙ্গ যুবকরা। এতে ঘটনাস্থলেই ইমন ও রহমান মারা যান। আহত রুবেলকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
জানা যায়, যেখানে দুই বাংলাদেশি নাগরিক খুন হয়েছেন, সেখানে সোলায়মান নামে আরেক বাংলাদেশি নতুন করে দোকান দেয়ার চেষ্টা করে আসছিলেন। সম্প্রতি এ নিয়ে হাসান ও রুবেলের সঙ্গে সোলায়মানের হাতাহাতিও হয়।
কয়েকজন প্রবাসীর অভিযোগ, ওই দ্বন্দ্বের জেরে সোলায়মান একই এলাকার জাকির আলী ও শান্ত নামের দুই বাংলাদেশির সহযোগিতায় প্রতিপক্ষকে খুন করতে পেশাদার খুনি ভাড়া করে থাকতে পারেন।
সোলায়মান এবং তার দুই সহযোগীকে আইনের আওতায় নিয়ে এলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হবে বলে ধারণা ওই প্রবাসীদের।