নাটোরে ধর্ষিতাকে বিয়ে করে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত মানিক হোসেন (৩২)। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) আদালত চত্বরে বিয়ে করার পরই অভিযুক্ত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটার এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার মকিমপুর মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়ে রওশনপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জমির মন্ডলের মেয়ে সম্পা খাতুনের সাথে পরিচয় হয় একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মানিকের। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মানিক।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে সম্পার বাসায় ঢুকে কথাবার্তা বলতে থাকে মানিক। এরই এক পর্যায়ে সম্পার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় মোবাইলে পুরো ভিডিও ধারণ করে সে। বিষয়টি সম্পার বাড়ির লোকজন টের পেলে মানিককে আটক করে।
এক পর্যায়ে মানিক বিয়ের জন্য রাজি হয়ে কাজী ডেকে আনার কথা বলে চম্পট দেয়। এরপর সম্পার পরিবার বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় মানিক। গত ১৯ অক্টোবর ধর্ষিতা সম্পা খাতুন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মানিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মানিককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মানিকের জামিন আবেদনের পাশাপাশি উভয় পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রকাশ করেছে বলে আদালতকে অবহিত করি। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান সরদার ধর্ষিতার সাথে ধর্ষকের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর মানিক হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।