বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাটোরে পুলিশের এএসআই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রী বাদী হয়ে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত র্যাব-৫ (রাজশাহী) কে অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের বাসিন্দা ওই ছাত্রী রাজশাহীর একটি কলেজে পড়ালেখা করেন। একটা সময় মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে ঘনিষ্ঠতা হয় দুজনের। এই সুযোগে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে পবা ও নওদাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে একত্রে বসবাস করেন তারা।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হয়। এরপর ওই ছাত্রী মাহবুবুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মাহবুব তাকে নির্যাতন করেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ৭ নভেম্বর ওই ছাত্রী বাবার বাড়িতে চলে আসেন। ওই দিন রাতে মাহাবুব সেখানে গিয়ে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরে কর্মস্থলে চলে যান।
এদিকে অভিযুক্ত এএসআই মাহবুবুর রহমান ওই কলেজ ছাত্রীকে তার স্ত্রী দাবি করলেও বিয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাছাড়া শিগগিরই তিনি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন বলেও জানান তিনি।