রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৯ টি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বলছে সহিংসতা উদ্দেশ্যেই বাসগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালেই রাজধানীর অন্তত ৯ স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশেই সরকারি বাস ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্যমতে, প্রথমে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টনে বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এরপর দুপুর ১টায় মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
সাড়ে ১২টার সময় রমনা হোটেলের সামনে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি চলন্ত গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনার পাঁচ মিনিট পর শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেওয়ান পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহনে আগুন দেয়া হয়।
এরপর ২টা ২৫ মিনিটে বংশালের নয়াবাজারে দিশারী পরিবহনে আগুন লাগানো হয়। এরপর পল্টনে জৈনপুরী পরিবহনে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে, মতিঝিল পূবালী পেট্রল পাম্পের কাছে দোতলা বিআরটিসি বাসে বেলা তিনটায় ও বিকেল ৪ টা ২৫ ভাটারা কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
বাসে আগুন দেয়ার পর সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে প্রতিটি বাসের অধিকাংশ পুড়ে গেছে বলেও জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের ডিউটি অফিসার মো. রাসেল শিকদার বলেন, রাজধানীর পৃথক স্থানে সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সাতটি স্থানেই মোট সাতটি ইউনিট পাঠিয়ে আগুন নির্বাপণ করা হয়। তবে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, নিঃসন্দেহে সহিংসতার উদ্দেশেই পার্কিং করা সরকারি যানবাহনে এবং রাস্তায় চলমান গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা রয়েছে।