মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পর মতোই প্রথা ভাঙছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াও। হোয়াইট হাউজের নব নির্বাচিত ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে ফোন করেননি তিনি। মোনালিয় সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার কাছ অভিনন্দন ও বার্তা পেয়েছিলেন। ইয়েলো ওভাল রুমে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মেলানিয়াকে আপ্যায়ন করেছিলেন ও দু’জনে হাসিখুশি মতবিনিময় করেছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট যেমন পরাজয় স্বীকার করে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফোন করে অভিনন্দন জানান, তেমনি ফার্স্ট লেডিরা পরবর্তী ফার্স্ট লেডিকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। খোঁজখবর নেন। মেলানিয়া তেমনটি না করে দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ীই কাজ-কর্ম করে যাচ্ছেন ও পরবর্তী ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডির অফিসকে বলা হয় ইস্ট উইং। ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফসহ সেখানে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। ইস্ট উইংয়ের সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলো বলছে, যেহেতু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও পরাজয় স্বীকার করেনিনি, সেহেতু মেলানিয়া চাইলেও ইস্ট উইং হস্তান্তরের উদ্যোগ নিতে পারেন না।
লরা বুশের চিফ অব স্টাফ আনিতা ম্যাকব্রাইড বলেন, এটি মেলানিয়ার জন্য জটিল সময়। তার স্বামী পরাজয় স্বীকার না করলেও তিনি তো তার বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। প্রেসিডেন্ট পরাজয় মেনে নিলে ও সময় এলে মেলানিয়া জিলকে স্বাগত জানানোর ও হোয়াইট হাউস ফ্যামিলি এবং কোয়ার্টার সংক্রান্ত বিষয়গুলো অবহিত করবেন।
তিনি আরও বলেন, এটা কেবল মেলানিয়া-জিলের ক্ষেত্রে প্রথম নয়। ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে আগেও এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুখকর ট্রানজিশনের পাশাপাশি বৈরী পরিস্থিতিও এসেছে সদ্য সাবেক ও নতুন ফার্স্ট লেডিদের মধ্যে।
যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি। যার কারণে মেলানিয়াও জিলকে স্বাগত জানাতে পারছেন না। তবে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর এসেছে, ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন ফার্স্ট লেডি। এ থেকে স্পষ্ট- কেবল স্বামীর ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করতে হচ্ছে মেলানিয়াকে।