আব্দুর রহিম: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে একটি হনুমানের করুন মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, খাদ্যের সন্ধানে এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দেওয়ার সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হনুমানটি মারা যায়। উপজেলার ভবনগর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ২৫০-৩০০ হনুমান বসবাস করে। সরকারিভাবে হনুমানের বিষয়ে কোন খোজ-খবর রাখা হয় না। সম্প্রতি খাদ্য সংকট,গাছগাছালি নিধনের কারণে মৌসুমী ফসল ক্ষতি করায় এলাকার মানুষ ফাঁদ পেতে হনুমান মেরে ফেলছে।
এলাকার লোকজন জানায়, তাদের পূর্ব পুরুষেরা এই হনুমান দেখে আসছে। এক দশক আগে ভবনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তি চৈত্র মাসে পানি খাওয়ার জন্য হনুমান দল বেধে তার বাড়ি পানি খেতে আসলে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে ২০/৩০টি হনুমান মেরে ফেলে। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন তাকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠায়। তারপর থেকে হনুমান মারা বন্ধ ছিল। বর্তমানে খাদ্য সংকটের কারণে পেয়ারা, পেঁপে, কলা, আমসহ নানা ধরণের ফসলের ক্ষতি করার কারণে কৃষকরা ফাঁদ পেতে হনুমান মেরে ফেলছে।
ভবনগর গ্রামটি ভারত সীমান্তে হওয়ায় মাঝে মধ্যে ভারতীয় হনুমান ও বাংলাদেশী হনুমানের মধ্যে মারামারি হয় এতেও হনুমান মারা যায়।
ভগনগর গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানায়, আগে কয়েকশত হনুমানের অবস্থান ছিল বর্তমানে তা কমে ১শ’র মধ্যে চলে এসেছে। হনুমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারীভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এলাকার সচেতন মহল হনুমান রক্ষার্থে সরকারীভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আমানউল্লা জানান, খাদ্য সংকটের কারণে হনুমানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হনুমান ক্রমেই কমে যাচ্ছে খাদ্যাভাব দূর হলে হনুমানের উৎপাত কমে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল জানান, কেউ যদি হনুমান মারে তাহলে বন্যপ্রাণী হত্যা আইনে মামলা হবে এবং খাদ্য সংকট সমাধান করা যায় কিনা সে বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।