যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন টাইগার ক্রিকেটের মহারাজা সাকিব আল হাসান। শুক্রবার রাত ২টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
এদিকে বিমানবন্দরে সাকিবকে স্বাগত জানাতে তার ভক্ত-সমর্থকরা জড়ো হন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তিনি গণমাধ্যমে কথাও বলেন। বিমান বন্দরে পৌঁছার পর নির্ধারিত করোনা প্রটোকল মেনে অবশেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন সাকিব।
সাকিব বলেন, অন্যান্যবার দেশে ফেরার চেয়ে এবারের দেশে ফেরাটা একটু ভিন্ন। আপনাদের দেখে ভালো লাগছে। এর আগে যখন এসেছি তখন তো এরকম স্বস্তিতে ছিলাম না। কিন্তু এখন সে জায়গা থেকে অনেক রিলিফ।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে মাথা থেকে বড় একটা চাপ সরে গেছে। কঠিন সময়ে সবাই পাশে ছিলেন। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে সবার এই ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনের প্রতিদান দেওয়া।
জানা গেছে, দেশে ফিরে বিসিবির প্রস্তাবিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব। এর আগে তার টিমের অনুশীলনেও অংশ নেবেন। গত সোমবার সাকিবের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, দেশে ফিরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। সেটা বিকেএসপিতে নয় বরং দেশের হোম অব ক্রিকেটে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যেই হয়তো শেরেবাংলায় ব্যাট ও বল হাতে অনুশীলনে দেখা মিলবে সাকিবের।
তারপর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যে পাঁচ দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে, সেখানেও খেলবেন সাকিব। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্লেয়ার্স ড্রাফট হলে সাকিবকে পেতেই আগ্রহী হবে সব দল।
একবছর পর আবার মাঠে ফেরা মুক্ত সাকিবকে দলে ভেড়াতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। প্লেয়ার্স ড্রাফট হলে সাকিবই হবেন সব দলের ফার্স্ট চয়েজ।
তাকে নিয়ে নিশ্চিতভাবেই কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে এবং এটা সত্য যে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব আছেন বলেই শেষ পর্যন্ত এটা করপোরেট লিগ হতে যাচ্ছে। মাঠে ফেরা সাকিব হতে পারেন যেকোনো দলের জন্য বড় সম্পদ।
এক জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও তা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় সাকিব গত বছরের ২৮ অক্টোবর ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন।
আইসিসি মূল নিষেধাজ্ঞা ছিল দুই বছরের। তবে দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় ও তদন্তে সহযোগিতা করায় আইসিসি তাকে এক বছরের স্থগিত সাজা দিয়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে।