ক্যারিয়ারে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক ঘিরে ছিল টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। সর্বশেষ বিতর্ক, সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। সাকিবের সেই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাচ্ছে (২৮ অক্টোবর) বুধবার। বৃহস্পতিবার থেকে ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন সাকিব।
জুয়াড়িদের ফিক্সিং প্রস্তাবে রাজি না হলেও বিষয়টি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে জানানওনি সাকিব আল হাসান। যদিও সাকিব জানিয়েছিলেন, বিষয়টাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি, তাই জানাননি। শেষ পর্যন্ত সেই অপরাধেই আইসিসির পক্ষ থেকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হলো সাকিবকে।
আইসিসির তদন্ত শুরু হওয়ার পর অবশ্য সাকিব আল হাসান সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। এ কারণেই আইসিসি ২ বছরের শাস্তি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে এক বছর কমিয়ে দেয়। সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞার শাস্তি মেনে নেন তখন। এরপর গত এক বছর ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণই দুরে ছিলেন তিনি।
অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের পাশে থেকে। মাঝে সেপ্টেম্বরের শুরুতে ঢাকা ফিরেছিলেন ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য। বিকেএসপিতে লোকচক্ষুর অন্তরালে অনুশীলন চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন। লক্ষ্য ছিল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সফরেই ক্রিকেটে ফেরা।
বিসিবির ইচ্ছা ছিল, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেই সাকিবকে দলে ফেরানোর। যেটা শুরু হওয়ার কথা ছিল, ২ কিংবা ৩ নভেম্বর। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায়, নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের ফিরে আসাটা হয়ে পড়ে সুদুরপরাহত। ফের যুক্তরাষ্ট্রে সাকিব ফিরে যান।