করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রেস্তোরাঁ, ব্যয়ামাগার ও সিনেমা হল বন্ধের নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন ইতালি সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লাগাম টানতে দেশটির লোম্বার্ডি অঞ্চলসহ মিলান, পায়েডমন্ত এবং তুরিনেও ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
আর নতুন এই বিধি-নিষেধ আরোপ করায় ইতালির মিলান ও তুরিন শহরে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ দুই শহরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ন্যাপলস শহরে হাজার হাজার জমায়েত হয়ে সহিংস বিক্ষোভ করেন। মিলানে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভে সহিংসতার জন্য দেশটির পুলিশ চরমপন্থী আন্দোলনকারীদের দায়ী করেছে।
পুলিশ বলছে, শুধুমাত্র মিলান থেকেই অন্তত ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজধানী রোম, জেনোয়া, পালারমো ও ট্রায়েস্তেসহ কমপক্ষে এক ডজন শহরে করোনার বিধি-নিষেধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তুরিনের কেন্দ্রীয় স্কয়ারে শত শত ট্যাক্সি চালক জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেন। একই সময়ে ক্রিমোনা শহরের কেন্দ্রে রেস্তোরাঁ মালিকরা কড়াই ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভেঙে প্রতিবাদ দেখান।
ন্যাপলসের পিয়াজা ডেল প্লেবিসসিতো শহরে বিক্ষোভকারীরা আঞ্চলিক সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের ইউরোপীয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল ইতালি। করোনার লাগামহীন বিস্তারে ইতালিতে প্রথম ঢেউয়ে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং আক্রান্ত হন ৫ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।