নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে হারিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের শিরোপা জিতল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নাজমুল একাদশের দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রিয়াদের দল।
জয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন দাস, ইমরুল কায়েস ও সুমন খান। লিটন-ইমরুল দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেন। লিটন ৬৮ রানে আউট হয়ে গেলেও ইমরুল ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আর বল হাতে বড় অবদান পেসার সুমন খানের। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুমন খান ও রুবেল হোসেনের গতির মুখে পড়ে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। দলীয় মাত্র ৪ রানে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান। এক উইকেটে ৩১ রান করা নাজমুল একাদশ এরপর ১০ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট।
মুশফিকুর রহিম ফেরেন ১২ রানে। ১১ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার সৌম্য সরকার। মাত্র ২ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন আফিফ হোসেন। দলের ব্যাটিং বিপর্যয় এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৬৪ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি।
ষষ্ঠ উইকেটে ইরফান শুক্কুরকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়, ৩৯ রানের ব্যবধানে নেই ৫ উইকেট। দলীয় ১৩৪ রানে ফেরেন হৃদয় (২৬)। ১৮ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন নাঈম হাসান। ১৭ বলে মাত্র ৩ রানে ফেরেন নাসুম আহমেদ।
দুর্দান্ত ইনিংস খেলে যাওয়া ইরফান শুক্কুরকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান রুবেল। তার আগে ৭৭ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৭৫ রান করেন ইরফান। ৭ বলে ১ রান করে এবাদত হোসেনের শিকার হয়ে তাসকিন সাজঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন সুমন খান, দুই উইকেট নেন রুবেল হোসেন।
জয়ের লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ১২ বলে ৪ রান করে ফিরে যান ওপেনার মুমিনুল হক। এরপর লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয় ৪৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৬৬ রানে জয় ফিরে গেলে লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। দুজনে জুটি গড়েন ৬৩ রানের। দলীয় ১২৯ রানে লিটন ফিরে গেলে ইমরুল ও রিয়াদ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নাজমুল একাদশ: ৪৭.১ ওভারে ১৭৩/১০ (ইরফান ৭৫, শান্ত ৩২, হৃদয় ২৬; সুমন ৫/৩৮, রুবেল ২/২৭)।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ২৯.৪ ওভারে ১৭৭/৩ (লিটন ৬৮, ইমরুল ৫৩*,মাহমুদউল্লাহ ২৩, মাহমুদুল হাসান ১৮, মুমিনুল হক ৪; নাসুম আহমেদ ২/৪৮)।