বৃষ্টিতে আছে বিড়ম্বনা। আবার এই বৃষ্টিই দারুণ উপভোগ্য একটি বিষয়। আর বৃষ্টির শীতলতা আরো উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে যদি গরম গরম উপাদেয় কিছু খাবার পাওয়া থাকে।
বৃষ্টির দিনে এই খাবারগুলো আপনার ভালোলাগাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে:
খিচুড়ি:
বৃষ্টি আর খিচুড়ি দুটি বিষয়কে যেনো আলাদাই করা যায় না। এর সঙ্গে যদি একটু আধটু বেগুন ভাজি কিংবা কয়েক প্রকার ভর্তা যোগ করা যায় তাহলে তো কথাই নাই।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি দারুণ জমে। চালে-ডালে নরম খিচুড়ি বা সবজি দিয়ে নিরামিষ খিচুড়ি রান্না করে খেতে পারেন। আর যদি বাড়িতে ইলিশ থাকে তবে রান্না করতে পারেন ইলিশ-খিচুড়ি। তবে খিচুড়ির সঙ্গে ডিম ভাজিও দারুণ জমে।
চা:
সারাদিন বৃষ্টিতে মনটা যখন ভিজে থাকে তখন গরম ভাপ ওঠা এক কাপ চা উপভোগ্য করে তুলতে পারে সময়টাকে। সঙ্গে একটা গল্পের বই যোক করতে পারে নতুন মাত্রা। সঙ্গে ছেড়ে দিন কিছু পুরনো দিনের বাংলা গান।
চায়ের সঙ্গে সিঙাড়াটাও দারুণ লাগে। অথবা পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ আর সরষের তেল দিয়ে মাখানো মুড়িও বেশ জমে।
চায়ে রয়েছে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরকে চাঙ্গা করে। আর তাই বৃষ্টির অলস দিনটাকে ফেসবুক আর মোবাইলের মধ্যে বন্দ্বী না রেখে প্রিয়জনের সঙ্গে বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে এক কাপ চা বা কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা জমাতে পারেন।
নুডলস:
রিমঝিম বৃষ্টিতে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসে। এমন দিনে স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা আনতে ঝটপট রান্না করে ফেলতে পারেন নুডলস।
বৃষ্টির দিনে ঝোল করা নুডলস বেশি ভালো লাগতে পারে। নুডলসের সঙ্গে ডিম, পেঁয়াজ, টমেটো আর ধনেপাতা মেশালে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি গন্ধটাও হয় জিবে জল আনার মতো।
পপকর্ন:
বাইরে ঝুম বৃষ্টি। বের হওয়ার উপায় নেই। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে সময় কাটানোর দারুণ উপায় হতে পারে পপর্কন।
নাশতা হিসেবে চায়ের সঙ্গে পপকর্ন নিয়ে বসতে পারেন। সিনেমা দেখতে দেখতে খেতে পারেন পপকর্ন।
ভুট্টা থেকে তৈরি পপকর্নে আঁশ বা ফাইবারের পরিমাণ বেশি। পাশাপাশি আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
পাকোড়া:
মুচমুচে পাকোড়া বৃষ্টিভেজা দিনটাকে করে তুলতে পারে ঝরঝরে। এমনিতেই পাকোড়া অত্যন্ত সুস্বাদু। এরসঙ্গে যদি একটু কেচাপ বা চাটনি যোগ করা যায় তাহলে মন্দ হয় না। আর সঙ্গে এককাপ চা হলে সেটা হবে বোনাস।