নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা এসি বিস্ফোরণ নয়, মিথেন গ্যাস থেকে আগুন ধরেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স অফিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যদি এসি থেকে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতো তবে সেগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে বা টুকরো টুকরো হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তো। এসিটি যেখানে সাঁটানো হয়েছে সেই দেয়ালে পোড়া দাগ থাকতো। কিন্তু মসজিদের দেয়ালে সেটি দেখা যায়নি। সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং এসি খুলে যেটি দেখেছি, আগুনের তাপে মসজিদের ৬টি এসি গলে গিয়েছে।
জিল্লুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মসজিদের ভেতর গ্যাস উদগীরণের বেশ কিছু আলামত চোখে পড়েছে। মসজিদের গেট সংলগ্ন পানিতে গ্যাসের উদগীরণ দেখা গিয়েছে। গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে আমরা মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পেয়েছি। এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মিথেন গ্যাস থেকে আগুন ধরে বা বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে আগুন ধরতে বা বিস্ফোরণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের পর গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে মসজিদের ভেতরে কী পরিমাণ গ্যাস আছে সেটি পরিমাপ করে দেখা গেছে, মসজিদের ভেতরে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি থাকলে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি সবে মাত্র ২ দিন পার হয়েছে। আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবো। মসজিদ কমিটিসহ ঘটনার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলবো।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালীন সময় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল।