দিনাজপুরের ঘোরাঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের সময়সীমা শেষ হয় রবিবার রাতে।
সোমবার সকালে ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তাকে আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট) নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সোমবার দুপুরে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ এ তথ্য জানান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন ও গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক জাহেদ হোসেন জানান, সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় তাকে এইচডিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, এইচডিইউতে নেয়া হলেও তাকে আইসিইউ সুবিধা দেয়া হবে বলেও জানান। এছাড়া শরীরের অবশ হয়ে যাওয়া ডান পাশের কার্যক্ষমতা ফেরাতে শুরু করা হয়েছে ফিজিওথেরাপি। তবে, চিকিৎসা শুরু হলেও, কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে বলে জানান চিকিৎসক।
চিকিৎসক জানান, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমকে কোনোভাবেই শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
গত বুধবার রাতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন দিনাজপুরের ঘোরাঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও।
