ঢাকার বাজারে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ খানেক আগেও যেখানে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজের দাম ছিলো ১৫০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা। সেই পেঁয়াজের দাম এখন কেজিতে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
প্রতি পাল্লা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। বন্যার অজুহাতে পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের ফলে ঢাকার বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
জানা গেছে, গত তিনদিনে পাইকারি আড়তে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা বাজারগুলোতে সব ধরনের পেঁয়াজ দেড়গুণ বাড়তি দামে এখন বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুর, কাওরান বাজার, গাবতলী, মহাখালী, উত্তরা, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার সুত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার কারণে ভারতে থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও অতি বন্যার ফলেও দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির এই সময়ে আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন, যা আগে ছিল ৩০ টাকা। এ হিসাবে পেঁয়াজের দাম দেড়গুণের বেশি বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়া প্রসঙ্গে মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেত কাঁচা বাজারের দোকানি জহিরুল ইসলাম জানান, খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সকালে ৬০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করা হয়েছিলো। আর এসব পেয়াজ তিনদিন আগেও ৩৫ থেকে ৪৪ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন।
পেঁয়াজ আমদানিকারক জালাল আহমেদ বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় হিলি বন্দর পর্যন্ত পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে খরচ হচ্ছে। আগে বন্দরে পেঁয়াজ লেনদেন হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি।
ভারতের নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় বাজারে পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
উত্তরায় কুসল সেন্টারে পেয়াজ কিনতে আসা লোকমান হায়দার নামের এক বেসরকারি কর্মকর্তা জানান, একদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে বেতন কমিয়েছে শতকরা ১০ ভাগ। বাজারে সবজির দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাতে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।
রাজধানীরসহ অন্যান্য বাজারের চিত্রও একই। খুচরায় দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনদিন আগে সব বাজারে খুচরায় মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।