নারায়ণগঞ্জে মসজিদের এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে ও রোববার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ জনে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতরা হলেন মোস্তফা কামাল (৩৪), মো. রিফাত (১৮), মো. রাসেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহীম বিশ্বাস (৪৩), জুয়েল, সাব্বির (২১), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৮), জুনায়েদ (১৭), মো. জামাল আবেদিন (৪০), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মাইনুদ্দিন (১২), জয়নাল (৫০), কাঞ্চন হাওলাদার, নয়ন, জুবায়ের, রাসেল (৩৪), মো. বাহাউদ্দিন (৫৫), মো. মিজান (৪০), আবদুল মালেক নেসারি (৫৫), শামীম হাসান ও নাদিম হোসেন (৪৫)।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এর আগে জানিয়েছিলেন, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। অনেকে বানৃ কম থাকলেও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই কেউই আশঙ্কামুক্ত নয়। এদের মধ্যে চারজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিলেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস একটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ একটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।