সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ‘নকল’ জন্মদিনে উপহার পাঠানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস বলেছে, এটা তাদের ভুল ছিলো। কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
তবে এ বিষয়ে চীনা দূতাবাসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, উপহার পাঠানোর বিষয়টি জানার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের কাছে এটি উত্থাপন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে চীনা দূতাবাস জানায়, তাদের দিক থেকে এটা ‘ভুল ছিলো। কারণ, তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো রিসার্চ করেনি এবং বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বুঝতে পারেনি।
কূটনৈতিক ওই সূত্র ইউএনবিকে আরো বলেছে, এ ঘটনায় চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘ক্ষমা’ চাওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার হবে বলে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চীনা অ্যাম্বাসি বলেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সকল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার একটি জাতীয় পলিসি তারা অনেক বছর ধরে মেনে আসছে। তাদের অফিস বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘রুটিনমাফিক’ জন্মদিনের উপহার পাঠিয়ে আসছে এবং এই ‘নকল জন্মদিন’ সম্পর্কে তারা অবগত ছিলো না।
‘তারা সাধারণত সকল রাজনৈতিক নেতাকে ফুল পাঠিয়ে থাকে।’ বলছিলো সূত্রটি।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে বাংলাদেশে অনেকদিন থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে তার চারটি জন্মদিনের কথা এসেছে। সেগুলো হলো- ৫ আগস্ট, ১৯৪৪; ১৯ আগস্ট, ১৯৪৭; ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৬।
১৫ আগস্ট তার জন্মদিন উদযাপন নিয়ে বেশি বিতর্ক হয়। কারণ, এদিন জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।