জানালার কাচ, দেওয়ালের টাইলস ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে। জায়নামাজ, প্লাস্টিকের চেয়ার, ফ্যান পুড়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে কোরআন ও হাদীস শরীফের বইগুলো। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা বায়তুস সালাহ জামে মসজিদে বিস্ফোরণের পর পুরো মসজিদ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলেও কোরআন ও হাদীসগুলো আগের মতোই আছে। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ১৭ জন মুসল্লী মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যারা এখনো বেঁচে আছে তাদের অবস্থাও খুব জটিল। অনেকেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেন।
গতকাল শুক্রবার এশার নামাজ শেষে বিস্ফোণের ঘটনা ঘটে। নামাজ শেষ হলেও অনেক মুসল্লী তখনও ইবাদত পালন করছিলেন। বিস্ফোরণের পরই মসজিদটির ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়।