বিকাল ৪:৪১ শনিবার ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

হোম লাইফস্টাইল কালোজিরার অবিশ্বাস্য যত গুণ

কালোজিরার অবিশ্বাস্য যত গুণ

লিখেছেন kajol khan
kalozira_durantobd
Spread the love

 

কালোজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে শরীরের কোষ ও কলার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কালোজিরা।

বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারে কালোজিরার বীজ ও তেল। প্রাচীন একটা কথা আছে, মৃত্যু ছাড়া সর্বরোগের ঔষধ আছে কালোজিরায়।

জেনে নিন কালোজিরার ঔষধি যত গুণ-

১. জ্বর, ও খুসখুসে কাশি, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালোজিরা ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগজীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।

২. কালোজিরাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি দূর করতে পারে এটি। আবার কালোজিরার তেল ইনহেলেশন অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়।

৩. অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহায়তা করে। ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৪. রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য কালোজিরা খুব কার্যকর।

৫. কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগজীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোঁড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

৬. কালোজিরা খেলে প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বাড়ে।

৭. গেঁটে বাত বা অস্থিসন্ধির ব্যথা দূর করতে কার্যকর কালোজিরা।

৮. কালোজিরা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা রোগের নেপথ্যের কারণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস। এই স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে কালোজিরা।

৯. পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, যকৃতের সমস্যায় বা জন্ডিস থেকে দ্রুত সেরে উঠতে কালোজিরা কাজে লাগে।

১০. কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুলপড়া বন্ধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কালোজিরা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

১১. মুখের ব্রণ দূর করতে কার্যকর কালিজিরা।

১২. যাদের দাঁতে ব্যাথা হয়, তারা কালোজিরা তেল ভিনেগারে মিশিয়ে তা দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁতে ব্যাথা সেরে যাবে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে টক দইয়ে কালোজিরা বাটা মিশিয়ে মিশ্রণটি মাড়িতে লাগিয়ে রাখুন। দুই মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহখানেক পর মুক্তি মিলবে এই সমস্যা থেকে।

কীভাবে খাবেন:
কালোজিরা ভর্তা হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। রান্নায় ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া গুঁড়া করে কুসুম গরম পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন। মধু ও লেবুর রসও মেশাতে পারেন।

সতর্কতা:
কখনোই বেশি পরিমাণ কালিজিরা খাবেন না। এতে পিত্ত সমস্যা হতে পারে। অন্তসত্তা নারীদের ক্ষেত্রেও কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More