রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে সব ধরনের মাংসের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা কমে প্রতিকেজি গরু মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসে দাম ৫০ টাকা কমে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম কমেছে মুরগির।
অন্য মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ইলিশ মাছের দাম নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে ইলিশের সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। আর বিক্রেতারা বলেছেন, ইলিশের মৌসুম না হলেও বাজারে ইলিশ আসছে। তবে দাম তুলনামূলক কম।
শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজারসহ এসব এলাকার অস্থায়ী বাজার সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসব বাজারে কেজিতে পাঁচ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। আর ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। তবে দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫৫০ টাকায়।
এদিকে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরুর মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। তবে কিছু কিছু দোকানে দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। দাম কমে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর প্রতিকেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, নদীর টেংরা (বড়) ৪৫০ থেকে ৫৫০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১১০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে প্রতি সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, আর ছোট ইলিশ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজারের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। কিন্তু ইলিশে আগের দামই চাওয়া হচ্ছে। অথচ দাম আরও কম হওয়া উচিত। গরুর মাংসের মতো ইলিশ থেকেও ক্রেতাদের মুখ ফেরানো উচিত। তাহলে ব্যবসায়ীরা দাম কমাবে।
একই বাজারের মাছ বিক্রেতা বলেন, এখন কিন্তু ইলিশের মৌসুম না। তবুও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ আসছে। সেই তুলনায় দাম কম আছে, এটাকে মোটেও বেশি বলা যায় না।