মেসি বনাম বার্সা দ্বন্দ্ব এখন বিশ্বফুটবলের অন্যতম চটকদার খবর। গত কয়েক দিনের খবরে ভক্ত-সমর্থকরা ধরে নিয়েছিলেন বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতেই যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। এ নিয়ে অনেক জলঘোলা হলেও বার্সা-মেসি বিচ্ছেদ নাটকে সত্যিকারের কোনো অগ্রগতি নেই।
বার্সার দাবি, মেসি ক্লাব ছাড়তে চাইলে তাকে বাই আউট ক্লজের পুরো ৭০ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মূদ্রায় ৭০০০ কোটি টাকা) দিতে হবে। আর তা মানতে নারাজ মেসি। মেসির দাবি, শর্ত মেনেই এখন ফ্রি-ট্রান্সফারেই দল পরিবর্তন করতে পারবেন তিনি।
এ অচলাবস্থা নিরসনে এক নতুন শর্তে মেসির ফ্রি-ট্রান্সফারের দাবিটিই মেনে নিয়েছে বার্সেলোনা। এতে মেসিভক্তদের খুশি হওয়ার কথা থাকলেও নতুন শর্তটি শুনে সন্তুষ্টি মুহূর্তেই চরম জেদে রূপ নেবে।
ইএসপিএন’র খব্র অনুযায়ী, মেসি ফ্রি-এজেন্ট হিসাবে বার্সা ছাড়তে পারবেন যদি আগামী মৌসুমে ফুটবল না খেলেন। অর্থাৎ পরের মৌসুমে মেসিকে কোনো খেলায় দেখা যাবে না। পাবেন না বেতন। এমন ভীষণ কঠিন শর্ত মানলেই ফ্রি-ট্রান্সফার মিলবে মেসির।
বার্সার এমন শর্ত মেসির সঙ্গে তামাশাই মনে হচ্ছে ভক্তদের। কারণ আগামী মৌসুম শেষ হলে এমনিতেই মেসির সঙ্গে বার্সার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। তখন এমনিতেই ফ্রি-ট্রান্সফারে অন্য ক্লাবে যেতে পারবেন মেসি। এমন উদ্ভট প্রস্তাবে ক্ষিপ্ত হয়েই নাকি অনুশীলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন মেসি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেন মেসি। যেখানে বলা হয়েছিল, প্রতি মৌসুম শেষে হওয়ার ২০ দিন আগে ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানালে তিনি ফ্রি-ট্রান্সফারে যেতে পারবেন। মেসি সেই সময় জুনে ফেলে এসেছেন। কিন্তু মেসি সেই ইচ্ছার কথা জানান আগস্টের শেষ দিকে এসে। তাই মেসিকে এখন অন্য ক্লাবে যেতে হলে বাই আউট ক্লজের ৭০ কোটি ইউরো পরিশোধ করেই যেতে হবে।
কিন্তু মেসি ও তার আইনজীবীর মতে, করোনার কারণে মৌসুম পিছিয়ে যাওয়ায় চুক্তির সেই সময়সীমা আগস্টেও ছিল। আর মেসি শর্তের বাইরে যাননি। তিনি এখন ফ্রি-এজেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে মেসির সঙ্গে সব বিরোধ ভুলে তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তি নবায়নের অনুরোধ করতে পারে ক্লাব বার্সেলোনা।