বার্সেলোনার প্রাক মৌসুম কর্মসূচী শুরু হয়েছে গত রোববার (৩০ আগস্ট)। তবে এই কর্মসূচিতে যোগ দেননি ক্লাবের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। এমনকি করোনাভাইরাস টেস্ট করাতেও যাননি তিনি।
আর তাই ক্লাবের পক্ষ থেকে মেসির একদিনের বেতন কেটে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, মেসির চূড়ান্ত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি যতদিন অনুশীলনে যোগ দেবেন না ততদিনের বেতন কাটবে বার্সা।
গ্রহের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ফুটবলারের প্রতিদিনের বেতন ১ লাখ ১০ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ১১ লাখ টাকার মতো।
এই বিশাল আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও ক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ না দেয়া এটাই ইঙ্গিত দেয় যে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে তিনি অটল।
তবে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শৈশবের ক্লাবটিকে ছেড়ে যাওয়া মেসির জন্য মোটেও সহজ হবে না বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
শুধু বার্সেলোনা নয়, লা লিগা কর্তৃপক্ষও একটি বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে, মেসি চাইলেই ফ্রি ট্রান্সফারে যেতে পারবেন না কোথাও। সেক্ষেত্রে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার মূল্য বা বাই আউট ক্লজ বহাল থাকবে।
বার্সার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, মেসির বাই আউট ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো।
তবে মেসিকে পেতে আগ্রহী ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এখনো বার্সেলোনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে। বাজারে মেসির ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে যেসব ক্লাবের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটিই।
ইতালিয়ান সাংবাদিক টানস্রেডি পালমেরি টুইট করেছেন, মেসিকে নিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
আরো পড়ুন:
মেসি-বার্সার সুখের সংসারে কুচ্ছিত বিচ্ছেদ
এই পরিকল্পনার অধীনে মোট পাঁচ বছরের চুক্তির তিন বছরের পরে মেসি ম্যানচেস্টার সিটির মালিকের আরেক ক্লাব নিউ ইয়র্ক সিটিতেও দুই বছর কাটাবেন।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট জোসেপ বার্তেমেউ এবং মেসির বাবা বুধবার দেখা করবেন।
৩৩ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এবং বার্সেলোনার মধ্যে বাই আউট ক্লজ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বাই আউট ক্লজ বলছে পাউন্ডের হিসেবে মেসিকে বার্সেলোনা থেকে ছাড়িয়ে নিতে প্রয়োজন হবে ৬২৪ মিলিয়ন।
কিন্তু মেসি চাচ্ছেন ফ্রি ট্রান্সফার, ২০১৭ সালে বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তির একটি অংশে এই বার্তা ছিল যে ১০ জুনের মধ্যে যদি মেসি ক্লাব ছাড়তে চান সেক্ষেত্রে এটি ফ্রি ট্রান্সফার করা হবে।
আগের হিসেব অনুযায়ী ১০ জুনের মধ্যে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে যায়।
সূত্র: বিবিসি
