সাধারণত রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় লবঙ্গ। রোগ নিরাময়ে লবঙ্গের কার্যকারিতা বহু গবেষণায় দেখা গেছে। আর সর্দি-কাশিতে লবঙ্গের উপকারিতা সকলেই জানেন। তবে এর কার্যকারিতার পরিধি আরও বিস্তৃত
ম্যাঙ্গানিজের উৎস:
এক চা চামচ লবঙ্গে পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন কে ও ম্যাঙ্গানিজ। মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজকর্ম সুষ্ঠু রাখতে ও হাড় শক্ত করতে ম্যাঙ্গানিজ খুব জরুরি। ম্যাঙ্গানিজের একটি উৎকৃষ্ট উৎস হল লবঙ্গ।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট:
লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফ্রি র্যাডিকলস কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের একটি উপাদান হল ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
লবঙ্গের আরও একটি উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এ উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভাল ভাবে হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গে কার্যকারীতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে খাবার খেলে যে সব ক্ষতি হতে পারে
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া: সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ তেল মালিশের কথা অনেকেই জানেন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্যই দাঁতের ব্যথায়ও এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ দেয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাড়ি সুস্থ থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে দাঁত বাঁচায়।
পাকস্থলীর আলসারের নিরাময়:
সংক্রমণ, স্ট্রেস বা জিনগত কারণে পেপটিক আলসার বা স্ট্রমাক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল গ্যাস্ট্রিক মিউকাসের উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।
যেভাবে লবঙ্গ খাওয়া যায়:
১. সর্দি বা কাশি হলে লবঙ্গ দেওয়া চা সব সময়ই উপকারী। এছাড়াও গার্গল করার সময়ে গরমে পানিতে লবঙ্গ দিলে, ওর ঝাঁঝে অনেকটা উপশম হয়।
২. গরম জলে পাঁচ মিনিট লবঙ্গ ফুটিয়েও সেই জল পান করা যায়।
৩. কাঁচা লবঙ্গ চিবিয়ে বা নুন মাখিয়ে খাওয়া যায়।
৪. মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।