রাত ১২:৩৪ মঙ্গলবার ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ১০ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

হোম দেশ স্ত্রীকে ‘বোন বানিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি

স্ত্রীকে ‘বোন বানিয়ে’ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি

লিখেছেন মামুন শেখ
Spread the love

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দিতে নিজের স্ত্রী ও খালাতো বোনকে জালিয়াতি করে বোন বানানোর অভিযোগ উঠেছে আলরাফুল আলম নামে জামালপুরের এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আশরাফুল আলমের বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ার চর গ্রামে। তার বাবা সহিদুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা কোটার সদ্ব্যবহার করে স্ত্রী ও খালাতো বোনকে চাকরি দিতে তিনি এ জালিয়াতি করেন।

বর্তমানে আশরাফুল আলম মাদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়ে আশরাফুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার এখন খেয়ার চরে ও খালাতো বোন শাপলা আক্তার টুপকার চরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সরন মিয়া।

সরন মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আশরাফুল আলম চাকরি দেওয়ার কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এখন ঘটনাটি ফাঁস হওয়ায় তিনি এলাকা ছেড়েছেন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জের ইউএনও আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা কার্যালয় থেকে পাওয়া বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন আশরাফুল, নাসরিন ও শাপলা। তিনজনই জন্মসনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে বাবা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানের নাম উল্লেখ করেন।

তারা মেরুর চর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে প্রত্যয়নপত্র ও জন্মসনদ নিয়েছেন।

ওই ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম মওলা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমানকে আমি চিনি। কিন্তু তার কয় সন্তান, তা আমার জানা ছিল না। এ সুযোগে আশরাফুল স্ত্রী ও খালাতো বোনকে নিজের বোন বানিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আশরাফুল এখন পলাতক।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আশরাফুলের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। গত রোববার রোবয়ার চর গ্রামে আশরাফুলের বাড়িতে গিয়েও তাকে বা তার স্ত্রীকে পাননি গণমাধ্যমকর্মীরা।

তবে বাড়িতে খালাতো বোন শাপলা ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে পাওয়া যায়।

শাপলা আক্তার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার চাকরি হয়েছে কি না, তা তিনি জানেন না। আশরাফুলই তার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। এ জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আর নাসরিন আক্তারও তার বোন নয়, স্ত্রী।

তিনি বলেন, তার বাবার নাম বেলাল মিয়া। মুক্তিযোদ্ধা সহিদুর রহমান আসলে তার খালু।

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওই তিনজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। ঘটনাটি এর আগেও একবার তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু তার ফলাফল কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।

You may also like

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More