কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়েছে গত বছর নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যাকারী ব্রেন্টন টারান্টকে। আমৃত্যু কারাভোগ করতে হবে তাকে।
কোনো কারণেই তাকে একদিনের জন্যও প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে না।
নিউজিল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থায় ফাঁসিতে ঝোলানোর বিধান না থাকায় দেশটির আদালত টারান্টকে আমৃত্যু কারাগারে থাকার শাস্তি দিয়েছেন। দেশটির ইতিহাসে এর চেয়ে বড় শাস্তি পায়নি আর কোনো অপরাধী।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুক নিয়ে পাখির মতো গুলি করে ৫১ জনকে হত্যা করে টারান্ট। সেদিন সেই মসজিদ দুটির একটিতে নামাজ আদায় করছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা।
খুনী টারান্ট প্রথমে নূর এবং পরে লিনউড মসজিদে হামলা চালায়। বন্দুক হামলার আগে নিজের ফেসবুক পেজে মুসলিম বিদ্বেষী পোস্টার শেয়ার করেছিল সে। এমনকি হামলার পুরো মুহূর্তটি সরাসরি সম্প্রচারও করেছিল অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এই খুনী।
আরো পড়ুন: করোনার মধ্যেই পার্টি, পুলিশের ধাওয়ায় নিহত ১৩
খুনী ব্রেন্টন টারান্টের দণ্ডাদেশ ঘোষণার সময় বিচারক জানান, ঘৃণ্যতম অপরাদ করার পরও তার মাঝে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই। সে যে অপরাধ করেছে তাতে কোনো শাস্তিই তার জন্য যথেষ্ট নয়।
চলতি সপ্তাহে টানা চারদিন ধরে হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী পরিবারের কয়েক ডজন সদস্য আদালতের শুনানিতে অংশ নেন। সবাই টারান্টের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
খুনীর মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় বেঁচে যাওয়াদের স্বজন ও ভুক্তভোগীদের হতাশা থাকলেও এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দেশটির বেশির ভাগ মানুষ।