শুধু আমি জানি, শুধুই আমি জানি মরিনি,
এখনো বেঁচে আছি না মরে। কিন্তু আমার আত্মা মরে গেছে মানি বেঁচে আছি কেবল জীর্ণশীর্ণ শরীরে।
কতদিন হাঁটি না খোলা নীলাকাশের নিচে কতদিন ঘুরতে যাই না উন্মুক্ত সমুদ্র বীচে। কতদিন গ্রহণ করি না বাইরের নির্মল বায়ু মনে হয় যেন ফুরিয়েই গেছে আমার আয়ু।।
কতদিন দেখি না পূর্ণিমা রাতের স্নিগ্ধ চাঁদ কতদিন পায়চারি করি না আবাসের ছাদ। ঘরেই থেকে থেকে ভেঙে গেছে ধৈর্যের বাঁধ পৃথিবীটাকে দেখার জন্য হৃদয়ে বড়ই সাধ।।
ঘরের বাইরে কান পাতলে পাই না সাড়া মনে হয় যেন ঘুমিয়েই আছে সমগ্র পাড়া। বাইরের কাজের জন্য কারোর নেই তাড়া
কাউকেই দেখি না,কেবল নিজেকে ছাড়া।।
চারিদিকে নেই কোন ধরনেরই কোলাহল ধরণীর সবকিছুই যেন হয়ে গেছে বিকল। কোথাও নেই কোনো স্বাভাবিক চলাচল ব্যাপারটা পৃথিবীর ইতিহাসে যেন বিরল।।
কী করে বুঝবো আমি, এখনও রয়েছি বেঁচে কোন কিছুর সান্নিধ্যে মন উঠতে চায় না নেচে। সুন্দরতম পৃথিবীতে সমারোহ বিভিন্ন প্রাণের তবুও নেই কোন আয়োজন মান অভিমানের।।
(লেখা: মোহাঃ বশির আলী, প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ)