দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের এ সংখ্যা গতকালের (২৬ আগস্ট) চেয়ে কম। আজকের ৪৫ জনসহ এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ১২৭ জনে।
এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৪৩৬ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হলো ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ করোনা রোগী।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন আরো ৩ হাজার ২৭৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ফেরাদের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১২৪টি।
এর একদিন আগে বুধবার (২৬ আগস্ট) দেশে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আরও ২ হাজার ৫১৯ জনের দেহে।
এদিকে পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৬ জনের।
বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০৫ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৩ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখানে ৬০ লাখ ৩৬৫ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
আর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ লাখ ২২ হাজার ৪ জন। এবং এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৬ জন।
মৃতের সংখ্যায় ব্রাজিলের পরেই আছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬২ হাজার ৭৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটিতে করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখ ৭ হাজার ৭৪৯ জন।
মৃত্যুর দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে আছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬০ হাজার ৬২৯ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।
ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।