স্ত্রীর মৃত্যুর সংবাদে স্বামী লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। বৃষ্টিতে ভিজছে কিশোরীর মৃতদেহ। নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর বাজারে মৃতদেহটি ভিজতে দেখে সোরগোল পড়ে যায়। আকলিমা তাড়াশ উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) রাত প্রায় ১০টার দিকে লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানান, খুবজীপুর গ্রামের লিয়াকত সরকারের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন মৃত আকলিমা ( ১৪)। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মনে করছেন, আকলিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকলিমা সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। এর আগে সাগরের প্রথম স্ত্রী বিষ পানে আত্মহত্যা করে। একই গ্রামে ভগ্নীপতি টিক্কার বাসায় থাকতো আকলিমা। সেখানেই সাগরের সাথে আকলিমার গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক এবং পরে তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই সব সময় তাদের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী সাগরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভগ্নিপতি টিক্কার বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে রাতেই নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আকলিমার ভগ্নীপতি টিক্কা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার শ্যালিকাকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার করত সাগর। ঘটনার দিন-মঙ্গলবার আকলিমা আমার বাসায় আসে। সবার অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।