আফগানিস্তানের বালখ ও কান্দুসপ্রদেশে তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষ শনিবার পর্যন্ত চলে। এসময় পৃথক তিনটি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৪ নিরাপত্তাকর্মী সেইসাথে ১১৪ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। খবর আফগানিস্তান টাইমসের।
শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় টাখারপ্রদেশে একটি তল্লাশিচৌকিতে তালেবানের হামলায় অন্তত ৯ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। প্রাদেশিক পুলিশ-প্রধানের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার আফগান ন্যাশনাল আর্মি (এএনএ) এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় আকাশ ও ভূমি থেকে চালানো তাদের অভিযানে তালেবানের কমপক্ষে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান প্রদেশে তালেবানের হামলায় আরও চার নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক সরকারের একজন মুখপাত্র।
এ বিষয়ে দেশটির রাজধানী কাবুল পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শনিবার কাবুলে একটি ম্যাগনেটিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে প্রাণ হারিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য।
সেইসাথে কাবুলে এমন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর বাহনগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিতই এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
যদিও তালেবানের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা শুরু করবে না তারা বলে জানা গেছে।
কাবুল সরকার তাদের হাতে বন্দি প্রায় ৪০০ তালেবান যোদ্ধার মধ্যে ৮০ জনকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে। গত ৯ আগস্ট দেশটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ থেকে এসব বন্দি মুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রাথমিক বন্দি মুক্তির পর অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে কাবুল সরকারকে জানিয়েছে, তাদের দেশের নাগরিক হত্যার সঙ্গে জড়িত তালেবান বন্দিদের যেন মুক্তি না দেয়া হয়। আফগান কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, দেশ দুটির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কাবুল সরকার ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৬৮০ তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদিকে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত রক্ষা করে তারা ইতিমধ্যে সরকার সমর্থিত এক হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
এমন নৃশংস হামলায় নিন্দা জানিয়ে সশস্ত্র তালেবান গোষ্ঠীকে অস্ত্র রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সেই সঙ্গে আন্তঃআফগান শান্তি আলোচনায় বসতে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ভেবে দেখতেও বলেন তিনি।