সাকিব আল হাসানের বড় মেয়ে আলাইনার ছবিতে বাজে মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা পর্যন্ত বলেছে পুলিশ। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আল হাসান শিশির। বাজে মন্তব্যকারীদের ওপর নয়, বরং যারা ওই মন্তব্যগুলো ফলাও করে প্রচার করেছেন ছোট্ট একটা ইস্যুকে যারা বড় করে তুলেছেন তাদের ওপরই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শিশির।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, কি হচ্ছে তা আমি খেয়ালও করিনি কারণ, এতে আমরা বিব্রত হয়নি। পাবলিক ফিগার হিসেবে আমাদের অনেক ফ্যান ফলোয়ার্স আছেন, অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী যেমন আছেন তেমনি কিছু লোক আছেন যারা পছন্দ করেন না; এটা সম্পূর্ণ একটা প্যাকেজের মতো। আমরা সবসময় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকি এবং এটা ভালো। বিশ্বের অনেক সেলেব্রিটি অনেক গুরুতর বিষয় ফেস করেন কিন্তু অন্য দেশগুলোতে তাদের এতটা সময় নেই যে, হাজারো ভালো কমেন্টের মধ্য থেকে ৪/৫টা খারাপ কমেন্ট খুঁটে খুঁটে বের করবে।
তিনি বলেন, আমি ওই সকল মন্তব্যকারীদের নিয়ে ভাবছি না কারণ সেগুলোতে আমরা বিব্রত হয়নি বরং ওই সকল পেজের এডমিনদের নিয়ে ভাবছি যারা ওই চারটা কমেন্ট খুঁজে বের করে ছোট্ট একটা বিষয়কে বড় করে তুলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। চলুন, আপনাদের পেজের কিছু উন্নতি হোক! আমাদের মোটিভ এবং জীবনযাপনে কোনকিছুই প্রভাব ফেলবে না কারণ, এই তুচ্ছ বিষয়টা আমাদের মোটেও বিব্রত করেনি।
বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব আল হাসান। সেখানেই স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। সম্প্রতি তার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা যায়, সূর্যমুখী বাগানে দাঁড়িয়ে আছেন হাস্যোজ্জ্বল আলাইনা। চুলে গোঁজা দুটো ফুল। আর সেই ছবিতেই নানাধরনের বাজে মন্তব্য করতে দেখা গেছে কয়েকজনকে।
ওই ছবির নিচে ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে কয়েকজন বাজে মন্তব্য করেন। এই ঘটনায় অনেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-কমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া গণমাধ্যমকে জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
তিনি বলেন, শিশুটিকে নিয়ে করা আপত্তিকর মন্তব্য পুলিশের চোখে পড়েছে। যে যে আইডি থেকে এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে সেগুলো শনাক্তের কাজ চলছে। শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সাকিব আল হাসান এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়েই কাজটি করছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।