টানা দুই মাস বাড়তে থাকা কাঁচামরিচের দাম আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি ভালো মানের কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা। এর সঙ্গে সবজির চড়া দাম তো আছেই। তবে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। বাজারে প্রতি ডজনে ডিমের দাম কমেছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর কাঁঠাল বাগান, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, শান্তিনগর ও মিরপুর কাঁচা বাজার সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে, ভালো মানের কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। অধাকেজি নিলে এসব মরিচের দাম রাখা হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। আর এক কেজি নিলে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও কাঁচামরিচের পোয়া ৫০ টাকা এবং কেজি ১৮০ টাকা রাখা হচ্ছে। অবশ্য এ মরিচের মান ভালো না।
মরিচের এমন চড়া দামের বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী আলম বলেন, বন্যা আর বৃষ্টিতে মরিচ ক্ষেত শেষ। এখনওযে কিছু কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে এই ভালো। বাজারে কাঁচামরিচের যে সরবরাহ তাতে কেজি ৩০০ টাকা হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই। গত বুধবারও এক পোয়া কাঁচামরিচ ৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করা সুযোগ নেই। তারপরও ভালো মানের কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে না।
মালিবাগ হাজীপাড়ায় মরিচ ব্যবসায়ী হিরু বলেন, আজ কাঁচামরিচের অনেক দাম। একদম ফ্রেস কাঁচামরিচ আড়তে পাওয়া যায়নি। তাই বেশি দাম দিয়ে এই মরিচ কিনেছি। গত বুধবার এ ধরনের কাঁচামরিচের পোয়া ৩০ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ যে দামে কেনা পড়েছে তাতে ৬০ টাকা পোয়া বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন বাজারে, লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাকের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর লাল শাক, সবুজ শাক ও কলমি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। আগের মতোই বাজার ও মান ভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। গাজরের কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। করলা (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। তবে বড় করলা ৭০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা।
চিচিংগা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পটল ও ঢেড়স ৫০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ধুন্দল ও ঝিঙা৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়োর জালির পিস ৪০-৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০-৪৫ টাকা এবং কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। এক কেজি আলুর জন্য ৩৫-৩৭ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী জহির বলেন, এ সপ্তাহের সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে বন্যা ও পানিতে সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক দিন ধরেই সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে সবজি বাজারে আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।