বিএনপি ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। সারাদেশে বোমা হামলা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা যখন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ ও র্যালি করতে যাই, সেই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আমাকে হত্যা করাই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ঘটনার আগে খালেদা জিয়া ভবিষ্যদ্বাণীকরে বক্তব্য রেখেছিলেন। কোটালীপাড়ায় বোমা হামলার আগে তিনি বলেছিলেন, ১০০ বছর ক্ষমতায় আসতে পারবে না আওয়ামী লীগ। ২১ আগস্ট বোমা হামলার আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা কোনো দিন বিরোধী দলের নেতা হতে পারবেন না। এ বক্তব্যগুলো প্রমাণ করে যে এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারা জড়িত। তাছাড়া আলামত নষ্ট করা একটি প্রধান প্রমাণ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২১ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমার বাঁচার কথা নয়। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যে অবস্থা থেকে বেঁচে এসেছি তা খুবই কষ্টকর। কর্মীরা মানবঢাল বানিয়ে আমাকে না বাঁচালে আমি বাঁচতাম না। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু করতেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার উপর ছোঁড়া গ্রেনেডের দুটি অবিস্ফোরিত ছিলো। পরে সেগুলো আলামত হিসেবেও সংগ্রহ করা হয়নি। এমনকি হামলার পরপরই ওই জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় আলামত নষ্ট করতে। এই হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পুরানো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে দেশে হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়।